January 16, 2025, 12:48 am

সংবাদ শিরোনাম
মধুপুরে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেনাপোলে বিজিপি বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হারিয়ে যাওয়া মায়ের খোঁজে দিশেহারা সন্তানরা ভিসা জটিলতায় বেনাপোল বন্দরে পরিবহন ব্যাবসার ধ্বস তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি সম্পন্ন শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি প্রজেক্টরে ভেসে উঠায় স্থানীয় জনতার প্রতিবাদ ঢাকায় দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করলেন সন্ত্রাসীরা: বেনাপোলে ভারতীয় ভয়ঙ্কর ট্যাপেন্টাডোল জব্দ মধুপুর উপজেলা মেম্বার ফোরামের উদ্যোগে তিন শতাধিক কম্বল বিতরণ লামায়-আলীকদম অনুপ্রবেশকালে ৫৮ মিয়ানমার নাগরিকসহ ৫ দালাল আটক

যথাযোগ্য মর্যাদায় সারাদেশে বিজয় দিবস পালিত

যথাযোগ্য মর্যাদায় সারাদেশে বিজয় দিবস পালিত

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ও যথাযোগ্য মর্যাদায় রাজধানীসহ সারা দেশে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। মহান বিজয় দিবসে একাত্তরের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিবার সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারা। এ সময় কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে শহীদদের স্মরণ করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের পক্ষ থেকে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সুপ্রিমকোর্টের পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের বিচারপতিগণ ও বিদেশী কূটনীতিকরা। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ছেড়ে যাওয়ার পর শ্রদ্ধা জানাতে সর্বসাধারণের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন যুদ্ধদিনের বিদেশি বন্ধুরা। বিভিন্ন রাজনৈতিক, পেশাজীবী, শ্রমিক সংগঠন, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানায়। গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার পর পর বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে পৌঁছান বিএনপি চেয়ারপারসন। জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে স্মৃতিসৌধের মূলবেদীতে পুস্পমাল্য অর্পণের পর খালেদা জিয়া কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বেলা দেড়টায় শেরে বাংলা নগরে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন তিনি। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ, সিপিবি, ওয়ার্কার্স পার্টি, গণফোরামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়, বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটসহ রাজধানীর বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করে।

বিজয় দিবসে রাজধানীজুড়ে ছিলো নানা আয়োজন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিজয় উৎসবে নাচ গান ও অন্যান্য পরিবেশনায় উঠে আসে একাত্তরে সয়ে যাওয়া দুঃখ এবং ধ্বংসস্তূপ থেকে রুখে দাঁড়িয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনার কাহিনী। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিজয়ের ৪৬ বছর উদযাপিত হয়। ‘বিজয় পতাকা হাতে চলি অবিরাম’ শিরোনামে বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যনে বিজয় উৎসবে অংশ নেন অগুনতি মানুষ। অনুষ্ঠানে নৃত্যের মাধ্যমে উঠে আসে একাত্তরের যুদ্ধের ভয়াবহতা, উঠে আসে বীরত্ব আর আত্মদানের গল্প। কণ্ঠশিল্পীর গানের সুরে আর নৃত্যশিল্পীর নাচের মুদ্রায় প্রকাশিত হয় স্বদেশের প্রতি অনুরাগ।শিল্পের আলোয় উঠে আসে বাঙালি জাতিসত্তার গৌরবগাঁথা। বিজয় উৎসবের অনুষ্ঠানের সূচনা হয় শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের কণ্ঠে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে। দেশাত্মবোধক গান আর তার সঙ্গে নৃত্য পরিবেশনায় ছিল স্বদেশের বন্দনা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার মাঝে উপস্থাপক রোকেয়া প্রাচী তুলে ধরেন সম্প্রতি বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতিপাওয়া বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ সম্পর্কে বিশ্ব নেতাদের মূল্যায়ন। অনুষ্ঠানে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীদের পরিবেশনা পর্বে মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণাদায়ী গান শোনান ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, শাহীন সামাদ, রফিকুল আলম ও তিমির নন্দী। ত্রিপুরা ভাষায় দেশাত্মবোধক গান শোনান পায়েল ত্রিপুরা। ‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’ গানটি গেয়ে শোনান হৈমন্তী রক্ষিত। শত কণ্ঠে দেশের গান শোনান শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা। রাত পর্যন্ত চলা এই উৎসবে দর্শক-শ্রোতার মন রাঙিয়েছেন লোকগানের শিল্পী মমতাজ। শ্রোতাদের উচ্ছ্বাসে ভাসিয়েছে ব্যান্ডদল দলছুট ও সোলস। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ এবং ঢাকা সাংস্কৃতিক দলের শিল্পীদের গানের পাশাপাশি পরিবেশিত হয়েছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিল্পীদের ময়ূর ও ওয়াংগালা নাচ। সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন সামিনা হোসেন প্রেমা ও অনিক বোসের দল। পরে সন্ধ্যা ৭টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দর্শকদের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর: বিজয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সপ্তম ও শেষ দিন গত শনিবার সকালে ভাস্কর্য অঙ্গনে ছিল শিশু-কিশোর আনন্দ অনুষ্ঠান। এতে অংশগ্রহণ করে সোসাইটি ফর দ্য ওয়েলফেয়ার অব অটিস্টিক, চিলড্রেন, কল্পরেখা, খেলাঘর, মৈত্রী শিশু দল, নৃত্যজন, বধ্যভূমির সন্তানদল, ইউসেপ স্কুল ও আলোর ধারা স্কুল। বিকাল ৩টায় উন্মুক্ত মঞ্চে পথনাটক ‘স্বাধীনতার সংগ্রাম ’ পরিবেশন করে থিয়েটার আর্ট ইউনিট। পরে প্রধান মিলনায়তনে নৃত্য পরিবেশন করে নটরাজ, সংগীত পরিবেশন করেন বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী, দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে মুক্তধারা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র, দলীয় সংগীত পরিবেশন করে ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবে উদয়ন একাডেমি। সন্ধ্যা ৭টায় ভাস্কর্য অঙ্গনে ‘কবিগান’ পরিবেশন করে বাগেরহাটের মিরা সরকার, যশোরের প্রীতিশ সরকার ও তাদের দল। বিকালে মিরপুরের জল্লাদখানা বধ্যভূমি স্মৃতিপীঠ প্রাঙ্গনেও ছিল মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আয়োজন। সেখানে মিরপুরের ১০টি সংগঠনের সদস্যরা গান, কবিতা ও নাটক পরিবেশন করে। এগুলো হল-চারুলতা একাডেমি, যুব বান্ধব কেন্দ্র, সপ্তসুর সঙ্গীত একাডেমি, গ্লোরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বধ্যভূমির সন্তানদল, কালের উচ্চারণ, মিরপুর উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নূপুর কালচারাল একাডেমি ও মিরপুর সাংস্কৃতিক ঐক্য ফোরামের শিল্পীরা।

শিল্পকলা একাডেমি বিকালে শিল্পকলা একাডেমিতে বিজয় দিবসের আলোচনা পর্বে অংশ নেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী, অধ্যাপক মোহাম্মদ জাফর ইকবাল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডীন আবু মো. দেলোয়ার হোসেন। আলোচনা শেষে হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সমবেত নৃত্যের পর দলীয় সংগীত পরিবেশন করে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, বাংলার মুখ ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট: বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বিজয় শোভাযাত্রা বের করে সংস্কৃতিকর্মীরা। শোভাযাত্রাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর ঘুরে টিএসসি গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রার উদ্বোধক নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেন, যে মূল্যবোধ ও চেতনার জন্য বাঙালি মুক্তিযুদ্ধ করেছে, তা যেন আমরা অব্যাহত রাখতে পারি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অটুট রাখতে হলে দেশের সংস্কৃতিকর্মীসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা যদি মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নের সমাজ গঠন করতে পারি তবেই আমাদের স্বাধীনতা স্বার্থক হবে। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। আমরা স্বাধীন হয়েছি, কিন্তু এখনও মুক্ত হতে পারিনি। সাম্প্রদায়িকতা, পরাধীনতা ও নানা বৈষম্য থেকে আমরা এখনও মুক্ত হতে পারিনি। এই অপূর্ণ কাজ পূর্ণ করতে পারলে আমরা মুক্ত হতে পারব। সভাপতির বক্তব্যে জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, আজকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের শপথ গ্রহণ করতে হবে। আমরা বাংলাদেশ থেকে সাম্প্রদায়িকতা আর জঙ্গিবাদকে উৎখাত করতে চাই। মক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার জন্য স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে একটি ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ:

নীলফামারী: জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবি এবং জঙ্গিবাদ প্রতিহত করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে সকাল ১১টায় মহান বিজয় দিবসের শোভাযাত্রা ও বর্ণাঢ্য র‌্যালি করেছে নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন। চৌরঙ্গী মোড়স্থ দলীয় কার্যালয় থেকে র‌্যালিটি বের হয়ে শহরের সব সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।

খুলনা: বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বুধবার খুলনায় মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। দিবসের প্রথম প্রহরে গল্লামারী স্বাধীনতা স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও প্রত্যুষে খুলনা কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে খুলনায় দিবসটি সূচনা করা হয়। সকালে খুলনা জিলা স্কুল মাঠে বিভাগীয় কমিশনার আবদুস সামাদ আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং আকর্ষণীয় কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন। খুলনা প্রেসক্লাব ও খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের (কেইউজে) উদ্যোগে পৃথকভাবে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সচেতন নাগরিক কমিটি, উদীচী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সংগঠন পৃথক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস পালন করে। বিকেলে খুলনা জিলা স্কুল ময়দানে কেসিসি বনাম জেলা প্রশাসনের মধ্যে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

সাতক্ষীরা : ১৬ ডিসেম্বর সকালে সাতক্ষীরা শহীদ আবদুর রাজ্জাক পার্কে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে কর্মসূচির শুভ সূচনা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি-বেসরকারি স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট ও গুরুত্বপূর্ণ ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৮.৩০ মিনিট থেকে সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে পুলিশ, বিএনসিসি, আনসার, রোভার স্কাউট, বয়স্কাউট ও গালর্স গাইড সমন্বয়ে মার্চপাস্ট ও শরীরচর্চা প্রদর্শনী এবং স্টেডিয়াম ভবনে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সাতক্ষীরা আয়োজনে রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও সকালে শহীদ আবদুর রাজ্জাকের কবর জিয়ারত ও পুষ্পমাল্য অর্পণ, পৌর দীঘিতে সাঁতার ও হাঁসধরা প্রতিযোগিতা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জোহর নামাজের পর দেশের অব্যাহত সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মসজিদ, মন্দির গির্জা ও প্যাগোডাসহ বিভিন্ন উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। বেলা ৩টায় সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ভলিবল প্রতিযোগিতা এবং সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নারীদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা ও ক্রীড়ানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বেলা সাড়ে ৩টায় সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন একাদশ ও পৌরসভা একাদশের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় সৌখিন ফুটবল প্রতিযোগিতা। বিকাল সাড়ে ৪টায় টেনিস মাঠে অনুষ্ঠিত হয় বিজয় দিবস টেনিস প্রতিযোগিতা এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শহীদ আবদুর রাজ্জাক পার্কে অনুষ্ঠিত হয় পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

ভোলা: ভোলায় যথাযগ্য মর্যদায় ৪৪ তম মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বুধবার সকালে ভোলা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ প্রদর্শন ও শিশুদের ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়। এ সময় ডিসপ্লে পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মো. সেলিম রেজা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান। পরে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে : নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪৪ তম মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, রাজনৈতিকদলসহ বিভিন্ন সংগঠন দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করেছে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনি এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ওমুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে অর্পণ করা হয় পুষ্পমাল্য। এর আগে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সকাল ৯টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা স্টেডিয়ামে পুলিশ, বিএনসিসি, স্কাউটস, গার্ল গাইডস, বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ওসামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবীর ও পুলিশ সুপার বশির আহম্মেদ। পরে শহীদ সাটু হলে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।এদিকে, বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা স্টেডিয়ামে সৌখিন ফুটবল প্রতিযোগিতা ও বিভিন্ন খেলাধূলা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় হরিমোহন সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ ২ দিনব্যাপী বিজয় মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক।

জামালপুর : মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জামালপুর শহরের বৈশাখি মেলা মাঠ সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিটে সদর উপজেলার সংসদ সদস্য ও সাবেক ভূমি মন্ত্রী রেজাউল করিম হীরার মিয়ার নেতৃত্বে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর একে একে জেলা প্রশাসক মো. শাহাবুদ্দিন খান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক ফারুখ আহম্মেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো. নিজাম উদ্দীন, সিভিল সার্জন ডা. মোশায়ের উল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ইউনিট কমান্ডার মো. শফিকুল ইসলাম খোকা, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ শিক্ষকরা, সরকারি জাহেদা সফির মহিলা কলেজ শিক্ষকবৃন্দসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।

যশোর : বিজয়স্তম্ভে পুষ্পস্তববক অর্পণ, কুচকাওয়াজসহ নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে যশোরে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হচ্ছে। সকাল ৮টায় শহরের মণিহার এলাকার বিজয়স্তম্ভে ফুল দেওয়ার মাধ্যমে স্বাধীনতাযুদ্ধে জীবন উৎসর্গ ও ত্যাগ স্বীকারকারীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে যশোরবাসী। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক দলসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ঢল নামে বিজয়স্তম্ভে। এরপর শামস-উল-হুদা স্টেডিয়ামে সকাল ৯টায় কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ূন কবির। এ সময় পুলিশ সুপার আনিছুর রহমানও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, চলচ্চিত্র প্রদর্শনীসহ দিনভর বিভিন্ন সংগঠনের অনুষ্ঠান হয়।

খাগড়াছড়ি : বিজয় দিবসের ভোরবেলা ৩১ বার তোপধ্বনির পর জাতীয় সঙ্গীত ও পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেদনের মূল আনুষ্ঠানিকতার। জেলা শহরের মাইনী ভ্যালি স্মৃতিসৌধে শহীদদের সম্মানে প্রথম পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধারা। এরপর খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল স ম মাহাবুব উল আলম, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো. মজিদ আলীসহ খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব ও খাগড়াছড়ি জেলা আইনজীবী সমিতি একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। পরে স্মৃতিস্তম্ভ সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গায় যথাযথ মর্যাদা ও বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে মহান বিজয় দিবসের ৪৪ বছর। দিবসটি উপলক্ষে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় চুয়াডাঙ্গা স্টেডিয়াম মাঠে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিশু কিশোররা মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস ও পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং সালাম গ্রহণ করেন। এর আগে সকালে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।

নওগাঁ : নওগাঁয় যথাযোগ্য মর্যাদা, ভাবগাম্ভীর্য ও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে ৪৪তম মহান বিজয় দিবস। দিবসের প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে ৩১ বার তোপধ্বনির পর শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। নওগাঁর জেলা প্রশাসক ড. মো. আমিনুর রহমান, পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক, জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাভোকেট ফজলে রাব্বী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য আবদুল মালেক, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সিভিল সার্জন, নওগাঁ পৌর মেয়র নাজমুল হক সনি, নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এছাড়াও বুধবার সকালে নওগাঁ স্টেডিয়ামে স্বেচ্ছায় রক্তদান, কুচকাওয়াজ, ছালাম গ্রহণ, ডিসপ্লে ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ঠাকুরগাঁও : শহীদ স্মৃতিসৌধ অপরাজেয় ৭১ চত্বরে রাত ১২টা ১মিনিটে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে মহান বিজয় দিবসের সূচনা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন। এ সময় যৌথভাবে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন- জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দবিরুল ইসলাম (এমপি) ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মূকেশ চন্দ্র বিশ্বাস ও জেলা পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদ। পরে একে একে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা পরিষদ, সরকারি কলেজ, মহিলা কলেজ, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাহিত্য, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। দিবসটি উপলক্ষে সকালে সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় বড় মাঠে কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে প্রদর্শন, খেলাধুলা, প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। দেওয়া হয় মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা। কারাগার, এতিমখানা ও ভবঘুরে শিশুদের মধ্যে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচিত্র প্রদর্শন, আলোচনা সভা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে আয়োজন করা হয়েছে সপ্তাহব্যাপী বিজয় মেলার।

মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জে বুধবার ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা হয়। পরক্ষণেই শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে সর্বস্তরের মানুষ। কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, চিত্র প্রদর্শনী, প্রীতিক্রীড়াসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পরে মুন্সীগঞ্জে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের ৬৭ জনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের সদস্য ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

সিরাজগঞ্জ : রাত ১২.০১ মিনিটে বাজার স্টেশন মুক্তির সোপানে একে একে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি সেলিনা বেগম স্বপ্না, জেলা প্রশাসক মো. বিল্লাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক আবু মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ। ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবসের শুভ সূচনা হয়। বুধবার ভোরে ৬টায় জেলার সব অফিস আদালত, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, স্ব-স্ব দলীয় কার্যালয়, শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৯টায় শহীদ শামসুদ্দীন স্টেডিয়ামে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত কুচকাওয়াজ ও সালাম গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মো. বিল্লাল হোসেন ও পুলিশ সুপার এস.এম. এমরান হোসেন সালাম গ্রহণ করেন। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানা, শিশু পরিবার ও অন্ধ শিক্ষা প্রকল্পে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।

হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন হয়েছে। সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। এরপর দুর্জয় হবিগঞ্জে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান, জেলা প্রশাসক, পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে। এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন এমপি আবু জাহির, জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম প্রমুখ। এছাড়া জেলা স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ, আলোচনা সভা মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয় দিনটি।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর